Digha কিংবা Mandarmani : ঘর নেই, চড়া ভাড়া! হোটেল ঠিক না করেই দিঘায় গিয়ে পৌঁছলে সমস্যায় পড়তে পারেন

হোটেল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ঈদের পর থেকে আগাম বুকিং আসতে শুরু করে। শুক্রবার বিকেলের পর দিঘার অধিকাংশ হোটেল ‘হাউসফুল’।

দিঘা ০৭ মে ২০২২

জমজমাট দিঘার সৈকত।

মান্দারমনি দিঘার সৈকত যেকোনো হোটেল বুক করা হয় আমাদের কাছে বুকিং জন্য যোগাযোগ করুন

Mandarmani or Digha Hotel Booking Online Or Offline Call Us 9093776417

সপ্তাহান্তের ছুটিতে পর্যটকদের ভিড়ে উপচে পড়েছে সৈকত শহর দিঘায়। ওল্ড দিঘা থেকে শুরু করে নিউ দিঘা— সব হোটেলই ভর্তি বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। যাঁরা শনিবার আচমকা দিঘায় এসে হাজির হয়েছেন তাঁদের ঘর খুঁজতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আগে থেকে হোটেল বুক না করে আসা পর্যটকদের একাংশের অভিযোগ, পরিস্থিতি দেখে ঝোপ বুঝে কোপ মারছেন অনেকেই। হোটেলের ভাড়াও কয়েক গুণ বেড়েছে বলে অভিযোগ। ফলে এই ছুটির মরসুমে আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে দিঘা যাওয়াই ভাল।
উঠল বাই তো দিঘা যাই— এমন চিন্তাভাবনা করে সৈকত শহরে পা রাখলে বিপদে পড়তে পারেন। ছুটির মরসুমে দিঘায় ভিড় উপচে পড়ছে। বাড়ন্ত হোটেলের ঘর। ফলে আগে থেকে হোটেল বুকিং করে দিঘায় পা রাখাই শ্রেয়। দিঘার হোটেল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ঈদের পর থেকেই আগাম বুকিং আসতে শুরু করেছিল। শুক্রবার বিকেলের পর দিঘার অধিকাংশ হোটেল ‘হাউসফুল’। ফলে যাঁরা আগাম বুকিং না করে দিঘায় হাজির হচ্ছেন তাঁদের অনেককেই ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে। হোটেল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ওল্ড দিঘা বা নিউ দিঘার যে সব হোটেল সমুদ্র থেকে অনেকটা দূরে বলে এত দিন পর্যটকরা খুব একটা পছন্দ করতেন না, সেই হোটেলগুলিতেও অতিরিক্ত ভাড়ার বিনিময়ে ঘর নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে। পর্যটকদের একাংশের অভিযোগ, অতিরিক্ত ভিড়ের চাপে ২০০ টাকার ঘর এখন বিকোচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। আবার সাধারণ এসি ঘরের ভাড়া পৌঁছেছে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায়।

লেকটাউনের বাসিন্দা পেশায় বেসরকারি সংস্থার কর্মী সুধাময় বসাক পৌঁছেছেন দিঘায়। তিনি আগে থেকেই হোটেল বুক করেছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘গত কয়েক বছরে দিঘার চেহারা আমূল বদলে গিয়েছে। ইয়াসের ক্ষত সারিয়ে দিঘা এখন আরও বেশি মোহময়ী। অফিসের ধকল সামলে কিছু সময়ের জন্য স্বস্তি পেতে দিঘার বিকল্প কিছু হয় না। সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত ক্যামেরাবন্দি করার পাশাপাশি রাতের আলো ঝলমলে সৈকতে বসে মিঠে হাওয়া খাওয়ার অনুভুতিটাই আলাদা।’’ হোটেলের ঘর নিয়ে চূড়ান্ত সমস্যা হচ্ছে বলে মানছেন সুধাময়ও। অনেকটা বেশি দামেই রুম নিতে বাধ্য হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

দিঘায় উপচে পড়ছে পর্যটকদের ভিড়।
LiveHotelBooking.Com

দিঘায় উপচে পড়ছে পর্যটকদের ভিড়।

দিঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশানের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ঘর নিয়ে কালোবাজারি কিছু হোটেলে হচ্ছে। তবে তা রেজিস্ট্রি করা হোটেলে নয়।’’ তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘আড়াই হাজার টাকার ঘরের ভাড়া সাড়ে তিন হাজার টাকা নিচ্ছেন কেউ কেউ। তবে এই সমস্যা হচ্ছে শুক্র এবং শনিবার হোটেলগুলি পুরোপুরি ভর্তি থাকায়।’’


Digha Tourist Sea Beach – mandarmani hotel booking